ব‍্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের ভিতর থেকে ব‍্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল‍্য

29th January 2021 2:32 pm বর্ধমান
ব‍্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের ভিতর থেকে ব‍্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল‍্য


আমিরুল ইসলাম ( ভাতার ) : সাতসকালে ভাতার বাজারে একটি কাপড়ের ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার কে ঘিরে, ভাতার বাজারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে খবর ভাতারের বেলেন্ডা গ্রামের বাসিন্দা শেখ মকবুল ইসলাম, বয়স ২৮ বছর,  দু বছর আগে ভাতার রেলস্টেশন বাজারে একটি কাপড়ের দোকান করেছিল। খুব কম সময়ে সে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে তুলেছিল বলে দাবি পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের।গতকাল বৃহস্পতিবার থাকায় বাড়িতে জানিয়ে আসে সে কলকাতায় দোকানের মাল পত্র  কিনতে যাবে। কিন্তু সন্ধ্যার পর তার আর ফোন ধরছিলো না। বাবা নুরুল ইসলাম রাত্রি বারোটার সময় এসে দেখে দোকানের চাবি লাগানো। রাত্রেই বাড়ি চলে যান। দোকানে এক কর্মচারী কাজ করতেন তার নাম সুচাঁদ দাস, বাড়ি ভাতারের আমারুন রেলস্টেশনে।আজ সকালে সে যখন দোকান আসে। দেখে দোকান বন্ধ । এলাকায় এসে ঘোরাফেরা করতে থাকে। হঠাৎ করে তার নজরে আসে দোকানে চাবি খোলা। সে দোকানের শাটার খুলতেই দেখে তার মালিক অর্থাৎ শেখ মকবুল ইসলাম, সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। তার চিৎকারে আশেপাশে দোকানদাররা ছুটে আসেন। এরপর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। খবর দেয়া হয় ভাতার থানায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান ময়নাতদন্তের জন্য। মৃতের কাকা শেখ শফিক জানান, বাড়িতে কোনো অশান্তি হয়নি। গতকাল সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে কলকাতা যাবো বলে। কালার বাড়ি ফেরেনি। রাতেও দাদা এসে দোকানে খোঁজ নিয়ে গেছিল দোকান বন্ধ ছিল। আজ সকালে শুনলাম তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিসে দেখে কি হলো বুঝতে পারছিনা। পুলিশ সূত্রে খবর,এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ভাতার বাজারে একটি কাপড়ের দোকান থেকে। এখনো পর্যন্ত পরিবারের তরফ থেকে কোনো লিখিত  অভিযোগ  হয়নি ভাতার থানায়।মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে।এই ঘটনায় বেলেন্ডা গ্রামে শোকের ছায়া।
 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।